দাগনভূঞা আলীপুর স্কুল হাই স্কুলে ভৌতিক পরীক্ষা! প্রশ্ন করায় সাংবাদিক লাঞ্ছিত
- Updated Jan 15 2024
- / 411 Read
দাগনভূঞা প্রতিনিধি;
দাগনভূঞা উত্তর আলীপুর স্কুল এন্ড কলেজে বছরের শুরুতে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপর ভৌতিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে একশত নাম্বারের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এতে ১২০ টাকা করে পরীক্ষার ফিস ও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অত্যন্ত গোপনে নেওয়া এই ভৌতিক পরীক্ষা নিয়ে স্কুল প্রশাসন কানামাছি খেলা খেলছে। দরজা জানালা সব বন্ধ করে চুপিসারে নেওয়া এই পরীক্ষা কেন এবং কি কারণে তা খোদ উপজেলা শিক্ষা অফিসারও জানেনা। এই ভৌতিক পরীক্ষার ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে
শিক্ষকেরা একেক সময় একেক কথা বলেন। একবার বলেন, এটি ভর্তি পরীক্ষা আবার বলেন ক্লাসের মূল্যয়ন পরীক্ষা। একটু পর বলেন, আমরা মেধা অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষে রোল নম্বর সিরিয়াল করার জন্য এই পরীক্ষা নিচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, আমরা বাচ্চাদেরকে মাত্র স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। এখনই যদি তাদের উপর পরীক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারা ভয়ে আর স্কুলে আসতে চাইবে না।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা ছাত্র ছাত্রীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য এই পরীক্ষা নিচ্ছি এবং শ্রেণীতে রোল নম্বর নির্ধারনের জন্য এই পরীক্ষা নিচ্ছি। পরীক্ষার ফিস নেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
স্কুলের বিদ্যুৎসায়ী সদস্য এবং ৭ নং মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল মামুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়ার সময় সাংবাদিকদেরকে লাঞ্ছিত করে তাদের মোবাইলগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা নেওয়া এটা আমাদের স্কুলের ব্যাপার। আপনাদের সমস্যা কোথায়। আপনারা ভিডিও করবেন কেন? নিউজ করবেন কেন? আমাদেরকে কোন কিছু বললে শিক্ষা অফিসার অথবা ইউএনও বলবে। আমরা বাচ্চাদের মেধা মূল্যয়নের জন্য দরকার হলে প্রত্যক সপ্তাহে পরীক্ষা নেব। পরীক্ষার ফিসের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্কুলে কোন দূর্নীতি নেই।
দাগনভূঞা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা ছাড়া এই ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। আর ভর্তি নেওয়ারও কোন বিধান নেই। এখন লটারির মাধ্যমে ভর্তি করাতে হয়।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত